Some street foods

পুজোর সাথে স্ট্রিট ফুড - এর একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে | বন্ধুদের সাথে পুজো দেখতে বেরিয়ে রাস্তার পাশের দোকান থেকে ঘুঘনি, রোল, চাউমিন, চাট, ঝালমুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা - না হলে তো পুজো সম্পূর্ণ হয় না | .... সত্যি কথা বলতে ছোটবেলায় এই ধরণের খাবারের প্রতি ছিল আমার তীব্র আকর্ষণ; শুধু পুজো কেন, যেকোনো দিন বাইরে বেরিয়ে বায়না জুড়তাম চিংড়ির চপ, ফুলুরি বা ঘটি গরম খাওয়ার জন্য | আপত্তি আসত বাবা সাথে থাকলে | কারণ হিসেবে বলা হতো এই অস্বাস্থ্যকর খাবার এত ঘন ঘন খাওয়া ঠিক নয়, আর বাবা বলতো "আমি বাড়ি গিয়ে বানিয়ে দেবো" | এবং হতোও তাই | .... মিক্সড চাউমিন থেকে চিকেন রোল, মোগলাই পরোটা থেকে ফিশ কাটলেট, চিকেন পকৌড়া থেকে ডিমের ডেভিল, মাশালা ধোসা থেকে দই বড়া, ফুচকা থেকে পাপড়ি চাট সবই তৈরি হয়ে যাচ্ছে বাড়িতে; প্রস্তুতিতে বাবা আর জোগাড়ের সাহায্যে মা | সেই উপলক্ষে বাড়িতে নিমন্ত্রিত কোনোদিন আমার বন্ধু, সমবয়সী বা দিদিরা | এরপর আর কোনোরকম বায়না করা চলে না - কারণ স্বাদে এবং পরিবেশে কোথাও কোনো কমতি নেই | তবে ছাড় মিলতো পুজোর সময় - তখন একটা অন্য আনন্দ | .... আসলে খাবারের আকর্ষণের সাথে আরেকটা জিনিস যেটা আমাকে টানত সেটা হলো ওই ফুড ষ্টল গুলোতে খাবার বানানোর প্রস্তুতি - চোখের নিমিষে কেমন অবলীলায় একের পর এক এগ রোল বানিয়ে যাচ্ছে ওরা বা এক অদ্ভুত হাতের ছন্দে ঝালমুড়ি মেখে চলেছে অবিরত .... দেশে বিদেশে সব জায়গায় দেখেছি জনজীবনে এবং উৎসবে স্ট্রিট ফুড-এর এক বিশেষ ভূমিকা আছে - স্থান পরিবর্তনে শুধু রকমটা পরিবর্তন হয় |
পুজো শুরুর আগের সপ্তাহে তাই বিভিন্ন দিনে বানিয়ে ফেললাম পুরোনো দিনের ভালোলাগার কিছু খাবার, যথা সম্ভব স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে 😊 .... এখন বুঝতে পারি বাবা কি কারণে সব কিছু বাড়িতে তৈরি করতে চাইতো; আমার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার পাশাপাশি আরেকটা বিষয় নিজের ভালোলাগা; নিজের হাতে যে কোনো কিছু তৈরি করার আনন্দই আলাদা | যাই হোক পুজোর খাওয়া-দাওয়া শুরু হোক স্ট্রিট ফুড দিয়ে .... 😊

ঝালমুড়ি, চাট, ঘুগনি, এগ চিকেন চাউমিন - Food stall style, এগ রোল

Write a comment

Comments: 0